যে রাস্তায় হেঁটে যায় মানুষ, তার মানচিত্র চেতনে অবচেতনে একান্ত নিজস্ব ভূগোলের অংশ হয়ে যায়। স্মৃতিকথাচিত্রে সেই উঠোন আর বাইরের আলোআঁধারি। সেখানে যেমন পূর্ণতা থাকে, হইহই থাকে, আবার উৎসবের পরের দিন শূন্যতাও থাকে। এমন পাওয়া না-পাওয়াদের মিলমিশ তুতুর মুলুকে। সে কোনো সব পেয়েছির দেশ নয়। তবে এক অন্যরকম দুনিয়া তো বটেই। ঠিকানা চাইলে বলতে হবে পাটনার গঙ্গা পেরিয়ে আরও পঞ্চাশ মাইল দূরে ফ্যাক্টরি শহর মারহাওড়া। উত্তর বিহারের এক বাঙালি পরিবার। তাঁদের রোজনামচায় ফেলে আসা ভূমির সঙ্গে দিব্য মিশে যায় মারহাওড়ার জলহাওয়া। আবার শুধুমাত্র সেই পরিবারের আখ্যান না হয়ে তুতুর মুলুক বলে একটি ফ্যাক্টরি শহরের অর্থনৈতিক সামাজিক চরিত্রের কথা। সেই আখ্যানে কখনো তুতু গল্পকার কখনো আবার নিজেই চরিত্র। তুতুর মুলুক-এর অন্দরে এই দুই দেখার আদান প্রদান ঘটে।
