শিশুকে পরিপূর্ণ শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য নিয়েই রবীন্দ্রনাথ তাঁর ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় (বর্তমান পাঠভবন) প্রতিষ্ঠা করেন। বৌদ্ধিক জ্ঞানের বিকাশ ঘটিয়ে কেবলমাত্র qualified candidate তৈরি করা নয়, শিক্ষার্থীকে বাস্তববাদী চিন্তাশীল কুতুহলী সচেতন এবং সর্বোপরি একজন সামাজিক জীব হিসেবে গড়ে তোলাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল। এই কারণেই তাঁর বিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতার ইঁদুরদৌড় ছিলনা। কিন্তু স্বল্পকিছুদিনের মধ্যেই সেই বিদ্যালয় নানান পরিস্থিতির শিকার হয়ে তার উদ্দেশ্য থেকে একটু একটু করে সরে আসতে বাধ্য হয়। ব্যথিত রবীন্দ্রনাথ তখন দ্বিতীয় আর একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন। ১৯২৪ সালের ১জুলাই প্রতিষ্ঠিত হ’ল রবীন্দ্রনাথের ‘সত্যিকার আদর্শ বিদ্যালয়’ শিক্ষাসত্র। যা তৈরি হয়েছিল মনুষ্যত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের উদ্দেশ্য নিয়ে।
