বাংলার মন্দিরে বৈষ্ণব,শাক্ত,শৈব ইত্যাদি নানা মতের সংশ্লেষণ ঘটে এক বহুমাত্রিক চেহারা তৈরি হয়েছে। আখ্যানের সেই বিপুল সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে স্থান পেয়েছে কৃষ্ণলীলা। কৃষ্ণলীলাবিষয়ক ফলকের এত প্রাচুর্যের ব্যাখ্যা কী হতে পারে? বাংলায় বিষ্ণুপুজোর প্রাচীন ইতিহাসের মধ্যে হয়তো বা লুকিয়ে ছিল তার বীজ। চৈতন্য সমকালীন ও পরবর্তী সময়ের ভক্তিসিঞ্চনে অঙ্কুরিত হয়ে সেই কৃষ্ণকথাই কি তবে উঠে এল মন্দিরের গায়ে টেরাকোটা অলংকরণ রূপে? কোথাও রয়েছে শিশু কৃষ্ণ ও মা যশোদার চিরন্তন বাৎসল্য রসের প্রতিরূপ, কোথাও আবার প্রেমিক কৃষ্ণের লীলারচনা, আবার কোথাও অসুর বধে তার বীর রূপের প্রকাশ। কৃষ্ণ মিশে গেছেন জনজীবনে, লোকবিশ্বাসে। ধর্মের সীমানা ছাড়িয়ে তার ব্যাপ্তি। শ্রীশ্যাম সুন্দর বেরা তাঁর গ্রন্থে কৃষ্ণলীলা সংক্রান্ত টেরাকোটা ফলক ও তার কাহিনি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। শ্রমসাধ্য এই কাজে খুব পরিচিত ফলকের পাশাপাশি আলোচিত হয়েছে বেশ দুর্লভ কিছু ফলকের ছবি ও আখ্যান।
