বিংশ শতাব্দীর ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকে শোয়ার্তসের লেখা নাটক রুশ নাট্যজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এর মধ্যে অন্যতম হল ১৯৩৪ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত নাটক ‘উলঙ্গ রাজা’। এই নাটকে নাট্যকার অসাধারণ কিছু চরিত্র সৃষ্টি করেন, যেমন – ক্ষমতালোলুপ রাজা, ধূর্ত চতুর মন্ত্রীর দল, অপূর্ব সুন্দরী রাজকন্যা, মেষপালক, রাজকুমারীর সখী, যাদের বর্ণনা রূপকথার গল্পেই শুধু পাওয়া যায়। ক্ষমতার লোভ এবং তার পরিণাম ‘উলঙ্গ রাজা’ (১৯৩৪), ‘ছায়া’ (১৯৪০) এবং ‘ড্রাগন’ (১৯৪৩) এই তিনটি নাটকেরই মূল বিষয়। নাট্যকার এই নাটকগুলিতে দেখিয়েছেন, যে ব্যক্তি ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে যায়, তার কোনো বন্ধু বা আপনজন থাকে না। সেই ব্যক্তি মনুষ্যত্ববোধও হারাতে বসে। ক্ষমতা মানুষের সুকোমল প্রবৃত্তিগুলোকে নষ্ট করে দেয়। শোয়ার্তসের নাটকে ক্ষমতার সঙ্গে স্তাবকতা এবং মিথ্যাচারের ওতঃপ্রোত সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
