প্রকৃতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল জিনিসেরই একটি নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। সে ফুল, পাতা, বীজ হোক আর ঘাসই হোক। এই সামান্য বস্তুগুলোই অঙ্গসজ্জায় বা কেশ সজ্জায় যে অসামান্যতা নিয়ে আসতে পারে তারই দৃষ্টান্ত এই বইটির পাতায় পাতায়। লেখিকা খুবই যত্ন সহকারে এই সাজসজ্জার পদ্ধতিও বর্ণনা করেছেন। অবশ্যই এসবের প্রেক্ষাপটে কাজ করেছে ওনার শান্তিনিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ে সহজভাবে বেড়ে ওঠা আর অদ্ভুত সব গুণী মানুষদের সাহচর্য। মাস্টারমশাই নন্দলাল বসুর কন্যা গৌরী ভঞ্জের বাড়িতে ছোটবেলায় খেলাধুলা করার সময় দেখেছেন ওনার অবিরাম হাতের কাজ, পাঠভবনের প্রকৃতিপাঠের শিক্ষক বারীণদার কাছে পেয়েছেন প্রকৃতির রূপ রস গন্ধের সন্ধান। আশ্রম বিদ্যালয় এর খোলামেলা পরিবেশ তার ইন্দ্রিয় কে সজাগ করেছে । বাড়ির পরিবেশে ঠাকুমার ফেলাছড়া বস্তু নিয়ে বানানো শিল্পকর্ম ওনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে, আর তার বাবার শৈল্পিক গুণ তাকে ঋদ্ধ করেছে। সব মিলিয়ে বইটি স্বাভাবিক এক নান্দনিকতার পরিচয় দেয় যা এ বিষয়ে আগ্রহীদের উৎসাহিত করবে
